News

আইআইইউসি’র দ্বাদশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর দাতো ড. আবু বকর আবদুল মজীদ

সামাজিক চাহিদার বাস্তবতায় মানবকল্যাণের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার কাজ বেশি হওয়া উচিত

সামাজিক চাহিদার বাস্তবতায় মানবকল্যাণের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার কাজ বেশি হওয়া উচিত

 



মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারার রেক্টর প্রফেসর দাতো ড. আবু বকর আবদুল মজীদ বলেছেন, সামাজিক চাহিদার বাস্তবতায় মানবকল্যাণের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার কাজ আরো বেশি হওয়া উচিত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়া গবেষণা-কাজ ও মেধার বিনিময়ের জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়।
গতকাল সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন্স (সিআরপি)-এর সহযোগিতায় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের আয়োজনে দু’দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের দ্বিতীয় এবং আইআইইউসি’র দ্বাদশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারার রেক্টর প্রফেসর দাতো ড. আবু বকর আবদুল মজীদ এ কথা বলেন। কুমিরায় আইআইইউসি’র নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন্স ইন সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি-২০১৮’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এই কনফারেন্সের সমাপনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি’র প্রফেসর এমিরিটাস ও সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টীজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, কনফারেন্স আয়োজন কমিটির কনভেনার এবং আইআইইউসি’র বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. দেলাওয়ার হোসেন এবং স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন, কমিটি কো-কনভেনার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ সামসুল আলম।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারার রেক্টর প্রফেসর দাতো ড. আবু বকর আবদুল মজীদ বলেন, এই কনফারেন্স বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের সম্মিলনের এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুণ সুযোগ করে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের এই সমাবেশ এবং মেধা ও অভিজ্ঞতার বিনিময় বিশেষ করে তরুণ গবেষকদেরকে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার বড় সুযোগ দিয়েছে। এই কনফারেন্স ছিল বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনা এবং সমাধানের একটা উপযুক্ত প্লাটফরম। তিনি এই কনফারেন্সের সাফল্যের অংশীদার আয়োজক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।



বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টীজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, গৎবাঁধা শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে আইআইইউসি জ্ঞানচর্চাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়না। মেধার উন্নয়নে কাজ করার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে। যে বিভাগের মাধ্যমে বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে গবেষণা কাজে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয়। সুশিক্ষার সুফল যাতে মানুষ পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও পায় সে লক্ষ্যে ভবিষ্যতে মেধা উন্নয়ন এবং গবেষণা কাজে আরো ব্রতী হওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের মত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি’র প্রফেসর এমিরিটাস ও সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা খুব কমজনের বোধগম্য হয়। এই বোধগম্য না হওয়াটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। এই বোঝা বা উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে জ্ঞানের বিনিময় এবং যৌথ উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে বাংলাদেশে এসবের নতুন জ্ঞান সমাজের সমস্যা সমাধান করতে পারেনা। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি যাদের প্রয়োজন সেই মানুষের কাছে পৌছায় না। এই কনফারেন্স বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের সম্মিলনের এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুণ সুযোগ করে দিয়েছে।



উল্লেখ্য এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের টেশনিক্যাল কো-স্পন্সর হলো আই ট্রিপল-ই’র বাংলাদেশ সেকশন। এই কনফারেন্সে দেশের প্রায় সবক’টি সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্থান, তুরস্ক ও বিভিন্ন দেশসহ ১৫ টি দেশের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক-প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে প্রাপ্ত ৩৫১ টা প্রবন্ধের মধ্যে ১০৪ টা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র প্রফেসর এমিরিটাস ও সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারার রেক্টর প্রফেসর দাতো ড. আবু বকর আবুদুল মজীদ, ন্যাশনাল এনার্জি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর নওশাদ আমিন, ভারতের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যবরেটরির প্রফেসর ভেদ রাম সিং, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দেবতোষ গুহ, কানপুরের আইআইটি’র প্রফেসর ফাল্গুনী গুপ্ত, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিিিটউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রফেসর ভীরেকর্ণ অংসাকুল, যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ণ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এটসুশি ইনো, জাপানের ইউনিভার্সিটি অব হাইয়োগোর প্রফেসর ড. শোজি কাবাশি, ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মোঃ আতিকুর রহমান আহাদ।

Recent News